কাতার যেমন দেখলাম

চারদিকের চাকচিক্য, মনোরম সাজসজ্জা, অভিনব আধুনিক রীতিনীতি, আমাদের সীমাবদ্ধ মলিন দৃষ্টিকোণকে আছড়ে-পিছড়ে ধুয়ে দেয় আরব সাগরের জলে।
একটু আগে বিমান থেকে কাতারের আলো ঝলমল যে রূপ দেখেছি, তার চমকের ছটায় আচ্ছন্ন হয়ে আছি তখনও। এরপর আকাশ থেকে নেমে পা রাখলাম আর এক বিশাল নিঝুম এলাহি প্রাসাদে।

যন্ত্রচালিতের মতো চলছে এখানের সবকিছু। চাওয়ার আগেই নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে সবরকম সুযোগ-সুবিধা।
আমাদের কিছুই করতে হলো না তেমন। ওদের কাঁধে ভর করে সম্পন্ন হলো যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার নিয়মবিধি।
লুসাইল সিটি গড়ে উঠেছে আরবসাগর ঘেঁষে। এলাকাটি বনেদি।

পাঁচতারা আলোঝলমলে হোটেল আর সার সার বহু কেতার গগন-উঁচু ভবন চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।
এগুলো বেশির ভাগই কাতারের ল্যান্ডমার্ক হিসেবে চিহ্নিত। চাঁদের আকৃতির হোটেলটির অভিনবত্ব, নকশার কারুকাজ, শৈল্পিক সৌন্দর্য, বিস্ময় আর মুগ্ধতায় আপ্লুত করে।

সাগরের মনোরম পটভূমিতে পুরো এলাকাটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে অপরূপ বিন্যাসে।
পানির ফোয়ারা, তোরণ, বর্ণিল আলোর ছন্দে পানির নাচন, কৃত্রিম ঝর্ণা, পার্ক, বৃক্ষলতা, বাহারি গাছগাছালি, থোকা থোকা ফুল, আলোর রোশনাই- সবমিলিয়ে রচিত হয়েছে এক অপূর্ব মহাকাব্যিক পরিবেশ।
সাগর পাড়ের একটি অংশজুড়ে বিশাল কাঠের গ্যালারি।

সেখানে শুয়ে বসে পান করা যায় সাগরের অপূর্ব রূপসুধা। চিত্তবিনোদনের এই স্নিগ্ধ আরামটুকু বিপুল উন্মাদনায় আপ্লুত করে সবাইকে।
কাতারের ক্ষুদ্র ভেনিস বলা হয় দোহার পার্ল আইল্যান্ডকে। এটা হলো সমুদ্র-সংলগ্ন একটি চাকচিক্যময় অভিজাত এলাকা।

ভেনিসের আদলে জলাধারের সঙ্গে মিতালি করে গড়ে উঠেছে এর অনুপম ভবন কাঠামো। নির্মাণ সৌকর্য, শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি, নান্দনিক উপস্থাপনার গুণে এলাকাটি ভিন্নরকম মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পর্যটকদের কাছে।

No Comments Found